শনিবার | ২০ এপ্রিল, ২০২৪

রাঙামাটিতে নানা আয়োজনে মুল বিজু উৎসব পালিত

প্রকাশঃ ১৩ এপ্রিল, ২০১৯ ০৪:৩৬:১৩ | আপডেটঃ ১৮ এপ্রিল, ২০২৪ ০৬:৪৩:১৩  |  ১৩০০
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। বৈসাবি উৎসবে মুখর পাহাড়। পাহাড়িদের ঘরে ঘরে পালিত হচ্ছে তাদের প্রাণের উৎসব। এ উৎসব তাদের ঐতিহ্যবাহী। পার্বত্য চট্টগ্রামে বহুকাল ধরে পালিত হয়ে আসছে পাহাড়িদের প্রধান সামাজিক উৎসবটি।

প্রতি বাংলাবর্ষ বিদায় ও বরণ উপলক্ষে সামাজিকভাবে ত্রিপুরা সম্প্রদায় বৈসুক, মারমারা সাংগ্রাই আর চাকমারা পালন করে বিজু উৎসব নামে। এর সংক্ষিপ্ত  পরিচিতি বৈসাবি। শুক্রবার পানিতে ফুল ভাসিয়ে শুরু হয়েছে তিন দিনের উৎসব। শনিবার পালিত হয়েছে উৎসবের মুলদিবস। এদিনকে চাকমারা বলে মূলবিঝু। এদিন ঘরে ঘরে যার যা সামর্থ্য দিয়ে ঘরে ঘরে ছিল আপ্যায়নের আয়োজন। আজ পহেলা বৈশাখ নতুন বছরের মঙ্গল প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে তিন দিনের বৈসাবি বা বিজু উৎসব। এতে একাট্টা হচ্ছে আবহমান বাংলার চিরায়িত বৈশাখী বা নববর্ষ উৎসব। উৎসবে মেতেছে রাঙামাটিসহ পাহাড়ের মানুষ।

শনিবার উৎসবের মুলদিবসে ঘরে ঘরে চাকমারা মুলবিঝু, মারমারা সাংগ্রাইং আক্যা এবং ত্রিপুরারা বৈসুকমা পালন করেছে। এদিন ঘরে ঘরে আয়োজন করা হয়েছে নানাবিধ বাহারি খাবারের। আপ্যায়নে মেতেছে শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সের নারী-পুরুষ। উৎসবে যোগ দেন, আবহমান বাংলার বাঙালিসহ সব জাতিগোষ্ঠীর মানুষ। এতে পাহাজুড়ে নামে খুশির জোয়ার।
রাঙামাটিতে সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, কেন্দ্রীয় বিএনপির উপজাতীয় বিষয়ক সহ সম্পাদক এডভোকে দীপেন দেওয়ানসহ  বিভিন্ন স্তরের রাজনৈতিক ও সামাজিত ব্যাক্তিবর্গ নিজ নিজ বাসভবনে সার্বজনিন আপ্যায়নের মধ্য দিয়ে সর্বস্তরের জনগণের সঙ্গে শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় করেছেন।

এদিকে উৎসবে চাকমাদের গেঙখুলি গীতের (লোকজ পালা গান) আসর, বাঁশ নৃত্য, মারমাদের জলকেলি এবং ত্রিপুরাদের গৈড়াইয়া নৃত্য মাতিয়েছে পাহাড়কে। আজ (রোববার) বাংলা নববর্ষের প্রথমদিন বা উৎসবের তৃতীয় দিন চাকমাদের গোজ্যেপোজ্যে, মারমাদের সাংগ্রাইং আপ্যাইং এবং ত্রিপুরাদের বিসিকাতাল উদযাপনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে তিন দিনের প্রধান সামাজি উৎসব বৈসাবি। এদিন মন্দিরে মন্দিরে আয়োজন হবে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের। পাশাপাশি বাংলা নববর্ষ বরণে আয়োজন করা হয়েছে বৈশাখি উৎসবের।

পরশু  সোমবার থেকে শুরু হবে মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী জলকেলি উৎসব।

এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions