শুক্রবার | ২৯ মার্চ, ২০২৪
বাঘাইছড়ির ৭ জন নির্বাচন কর্মকর্তা হত্যাকারীদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন

নিরাপত্তার জন্য প্রত্যাহারকৃত সকল সেনাক্যাম্প পুনঃস্থাপন করার দাবি

প্রকাশঃ ২৩ মার্চ, ২০১৯ ০১:৩৯:৪৮ | আপডেটঃ ২৪ মার্চ, ২০২৪ ০৬:০৭:৪২  |  ১১৮০
সিএইচটি টুডে ডট কম ডেস্ক। রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে ৭ জন নির্বাচন কর্মকর্তা হত্যাকারী  উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার যৌথভাবে দাবি জানিয়েছে, পার্বত্য নাগরিক পরিষদ ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ। পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিঃ আলকাছ আল মামুন ভূঁইয়া বলেন, নির্বাচন কর্মকর্তা হত্যাকারী উপজাতি সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে চুড়ান্ত শাস্তি দিতে হবে এবং ক্ষতিগ্রস্থ সকল পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। নিরস্ত্র সাধারণ মানুষের জীবন রক্ষার্থে পার্বত্য চট্টগ্রামে থেকে প্রত্যাহারকৃত সকল সেনাক্যাম্প পুনঃস্থাপন করতে হবে।

শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাব সামনে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ তারা এই দাবি জানায়।

পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর সভাপতি ইঞ্জিঃ শাহাদাৎ ফরাজি সাকিবের সভাপতিত্বে উক্ত সমাবেশে প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিঃ আলকাছ আল মামুন ভূঁইয়া, বাংলাদেশ কল্যান পার্টির সহসভাপতি মো: সহিদুল ইসলাম তামান্না, ন্যাপ ভাষানীর সভাপতি মো: মোস্তাক আহমেদ, সমঅধিকার আন্দোলনের মহাসচিব মনিরুজ্জামান মনির, পার্বত্য নাগরিক পরিষদের যুগ্ন মহাসচিব শেখ আহাম্মদ(রাজু),পার্বত্য নাগরিক পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের তত্বাবধায়ক উপদেষ্টা আব্দুল হামিদ রানা, পার্বত্য নাগরিক পরিষদের যুগ্ন মহা সচিব মো:ওয়ালী উল¬াহ এবং পিবিসিপির  উপদেষ্টা ড.মোকছেদ আলম মঞ্জু , সহ দপ্তর সম্পাদক মো: সিরাজুল ইসলাম, পার্বত্য নাগরিক পরিষদের ঢাকা মহানগর কমিটির মো: আবদুল করিম মিজি, পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা মো: মোস্তফা কামাল, পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সারোয়ার,  মহানগর নেতা আলামিন প্রমুখ।

মানববন্ধন ও সমাবেশে প্রধান অতিথি আলকাছ আল মামুন ভূঁইয়া বলেন, গত ১৮ তারিখে রাঙামাটির জেলার বাঘাইছড়িতে ৭জন নির্বাচনী কর্মকর্তাকে  হত্যা  এবং ২০জন আহত  করার  পরদিন বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুরেশ কান্তি তংচঙ্গ্যাকে  জেএসএস এর স্বশস্্র সন্ত্রাসী বাহিনী  গুলি করে হত্যা করে  তার প্রতিবাদে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের  তিন জেলা থেকে সংরক্ষিত মহিলা আসনের  এমপি  বাসন্তি  চাকমা  গত ২৬ তারিখে মহান জাতীয় সংসদে পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙ্গালী এবং সেনাবাহিনী সম্পর্কে যে মিথ্যা,বানোয়াট,কাল্পনিক  এবং উগ্র সাম্প্রদায়িক বক্তব্যে  দিয়েছে তাতে মুসলমানদের  ধর্মানুভতিতে আঘাত করেছে। তার বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রামে অশান্তি সৃষ্টির  হয়েছে। বাসন্তি চাকমার উগ্রসাম্প্রদায়িক বক্তব্যে পাহাড়ে উপজাতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীকে উস্কে দিয়েছে। তার দায়ে সংসদ থেকে তাকে অপসারণ,তার বক্তব্য সংসদের রেকর্ড থেকে বাতিল এবং জাতীর কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। সন্তু লারমা ও  ৮ জনের হত্যাকারী  উপজাতীয়  স্বশস্্র সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে চুড়ান্ত শাস্তি- এবং ক্ষতিগ্রস্থ সকল পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণের দাবী জানান।

মানববন্ধনে বক্তারা মানববন্ধনে বক্তারা ৬ দফা দাবি জানান, দাবি গুলো হলো: ১.বাঘাইছড়িতে নিহত সকল পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দান, ২. হত্যাকারীদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেয়া, ৩. নিরস্ত্র সাধারণ মানুষের জীবন রক্ষার্থে পার্বত্য চট্টগ্রামে থেকে প্রত্যাহারকৃত সকল সেনাক্যাম্প পুনঃস্থাপন করতে হবে, ৪. পার্বত্য চট্টগ্রামে যৌথবাহিনীর মাধ্যমে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে, ৫. গত ২৬ ই ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা এম পি বাসন্তি চাকমার দেয়া বক্তব্যের মাধ্যমে সন্ত্রাসীদেরকে উস্কে দিয়েছিল বলেই পাহাড়ের এ সব হত্যাকান্ড হচ্ছে, সে জন্যে বাসন্তি  চাকমাকে সংসদ সদস্য থেকে অপসারণ করে পাহাড়ে শান্তি ফিরিয়ে আনতে হবে হবে, এবং  জে এস এস নেতা  সন্ত্রাসী সন্তু লারমাকে হুকুমের আসামী করে গ্রেফতার করতে হবে। অন্যথায়  কঠিন কর্মসূচীর মাধ্যমে দেশবাসী সহ পার্বত্য চট্টগ্রাম অচল করে দেয়ার হুঁশিয়ারী করা হয়।

পার্বত্য নাগরিক কমিটির দপ্তর সম্পাদক খলিলুর রহমান পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়।

এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions