শুক্রবার | ২৯ মার্চ, ২০২৪
খাগড়াছড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ

চিকিৎসাধীন ৩জনের মৃত্যু, প্রতিবেদনে অবৈধভাবে গ্যাস ভর্তির সত্যতা মিলেছে

প্রকাশঃ ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯ ১২:০০:৩৯ | আপডেটঃ ১৫ মার্চ, ২০২৪ ০৭:২৭:২৮  |  ৮৯৫
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। খাগড়াছড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় দগ্ধ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সোমবার ও গত রোববার তিনজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সাহাদাত হোসেন টিটো বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহতরা হলো, খাগড়াছড়ি সদরের কমলছড়ি এলাকার বিন্দু কুমার চাকমার ছেলে ভূবন রঞ্জন চাকমা, চট্টগ্রামের হাটহাজারীর মো: ইউসুফের ছেলে আব্দুল হামিদ ও একই এলাকার মো: কামালের ছেলে মো: জমির।

এদিকে, সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় বিস্ফোরক অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেনকে প্রধান করে গঠিত দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি সোমবার পুলিশের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে। তদন্তে অবৈধ উপায়ে বড় সিলিন্ডার থেকে ছোট সিলিন্ডারে গ্যাস ভর্তির সত্যতা পাওয়া গেছে।

বিস্ফোরক অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিদর্শক মো: তোফাজ্জল হোসেন মুঠোফোনে জানান, অনুমতি ছাড়া দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে অবরুদ্ধ দুইটি কক্ষে দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্টন এন্টারপ্রাইজ ৪৫, ৩৫ ও ৩৩ কেজি সিলিন্ডার থেকে ১২ কেজির ছোট সিলিন্ডারে গ্যাস ভর্তি ও মজুদ করত। গত ১৯ ফেব্রুয়ারী গ্যাস ভর্তির সময় বিস্ফোরণ ঘটে।

তদন্ত প্রতিবেদনে অনুমতি ছাড়া অবৈধ ভাবে গ্যাস ভর্তি, মজুদ ও বিক্রীর দায়ে ক্যান্টন এন্টারপ্রাইজের মালিক সৌম্য উজ্জল চাকমাসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে সুপারিশ করা হয়েছে।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সাহাদাত হোসেন টিটো জানান, ক্যান্টন এন্টারপ্রাইজের মালিক সৌম্য উজ্জল চাকমাসহ তার সহকারীদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইন ১৮৮৪ এর ৭ ধারা, এলপিজি বিধিমালা ২০০৪ এর ১২৪ ও গ্যাস সিলিন্ডার ১৯৯১ এর ৫৫ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ ফেব্রুয়ারী খাগড়াছড়ি সদরের খবংপুড়িয়া এলাকার একটি গ্যাসের গুদামে গ্যাস বিস্ফোরণে ৭জন দগ্ধ হয়।

খাগড়াছড়ি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions