শুক্রবার | ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

লামায় রুপসীপাড়া বাজারে আগুনে পুড়ে গেছে ৩১টি দোকান

প্রকাশঃ ০৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯ ০৫:১০:০৬ | আপডেটঃ ১৪ এপ্রিল, ২০২৪ ০৪:৪৬:১২  |  ৮৯১
সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। বান্দরবানের লামার রুপসীপাড়া বাজারে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে লাগা আগুনে ৩১টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারী) মধ্যরাত ৩টা ৪০মিনিটে আগুনের সূত্রপাত হয়। সংবাদ পাওয়ামাত্র স্থানীয় জনতা ও রুপসীপাড়া ক্যাম্পের সেনাবাহিনী টিম আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। পরে লামা ও আলীকদম ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট দুই ঘণ্টা চেষ্টার চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কোটি টাকার অধিক বলে জানিয়েছেন, ইউপি চেয়ারম্যান ছাচিং প্রু মার্মা।   

লামা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার নয়ন জীব চাকমা জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। রাত ৩টা ৫০মিনিটে ফোন পেয়ে আমরা সাড়ে ৪টায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। দোকান গুলো টিন ও কাঠের হওয়ায় মুহুর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ৩১টি দোকান পুড়ে গেছে।

ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা হলেন, মো. মিলন (মুদি দোকান), রিপন (চা দোকান), মো. জাফর (মুদি দোকান), আবেদ আলী (হার্ডওয়ার, ইলেকট্রনিক্স-২টি, ওয়ার্কশপ), তোয়াজ মিয়া (বসতবাড়ি), মো. কামাল (চা দোকান), নাছির (মুদি দোকান), সুলতান কারবারী (চা দোকান), আকাশ (হারবাল ঔষধ), নূর আলম (মুদি দোকান), আবু বক্কর ছিদ্দিক (মুদি দোকান), মমতাজ (সারের ডিলার), আব্দুস সাত্তার গাজী (ফার্মেসি), মতিউর রহমান (মুদি), মো. শহীদ (মুদি), নজির মিয়া (৪টি মুদির দোকান ও গুদাম), রানা (মুদি), ইউছুপ (কম্পিউটার দোকান), এমাদুল (মুদি-আংশিক ক্ষতি), ছলিম উল্লাহ (হোমিও দোকান), রফিক (কম্পিউটার), আনিচ (মুদি), আবজাল (মুদি), আব্দুল লতিফ (কাঁচামাল) ও মংচিংথুই মার্মা (কম্পিউটার)।   

ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী মতিউর রহমান, আবেদ আলী সহ অনেকে কান্না করেবলেন, আমরা সর্বশান্ত হয়ে গেছি। কোন মালামাল বের করতে পারিনি। ব্যাংক ও এনজিও ঋণ নিয়ে ব্যবসা করি। কিভাবে নিজের পরিবার চালাব ও ঋণের টাকা শোধ করব জানি না।

রুপসীপাড়া বাজার কমিটির সভাপতি আব্দুস সাত্তার গাজী বলেন, আমার ফার্মেসি সহ মোট ৩১টি দোকান আগুনে পুড়ে গেছে। গভীর রাতে আগুন লাগার কারণে কোন মালামাল বের করা সম্ভব হয়নি। ব্যবসায়ীরা সর্বশান্ত হয়ে গেছে। আমরা সরকার ও পার্বত্য মন্ত্রীর কাছে সহায়তা চাই।

স্থানীয় ইউপি মেম্বার শাহ আলম বলেন, ফায়ার সার্ভিস আসতে কিছুটা বিলম্ব করায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেড়েছে। তাদের দায়িত্বের প্রতি আরো সচেতন হওয়া দরকার। সেনাবাহিনী মুহুর্তে ছুঁটে না এলে ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়ত।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ অপ্পেলা রাজু নাহা বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ প্রেরণ করা হয়েছে। মধ্যরাতে আগুন লাগার কারণে ক্ষতির পরিমাণ বেশী হয়েছে।

রুপসীপাড়া বাজারে আগুনের ঘটনার কথা জানতে পেরে দুঃখ প্রকাশ করেছেন পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। তিনি সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। এদিকে ব্যবসায়ীদের পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন, লামা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল।

বান্দরবান |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions