নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠ ও শান্তিপুর্ণ হোক আমরাও সেটা চাই : উষাতন তালুকদার এমপি
প্রকাশঃ ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০২:২৬:২৪
| আপডেটঃ ২৮ মার্চ, ২০২৪ ০৯:৩১:১৩
|
১০০৬
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটির সংসদ সদস্য ও জনসংহতি সমিতি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী উষাতন তালুকদার বলেছেন, সারাদেশের মতো ২৯৯ পার্বত্য রাঙামাটি আসনের নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। ভোটাররা যাতে নির্ভয়ে ও কোন প্রকার হস্তক্ষেপ ও বাধা ছাড়া ভোট কেন্দ্রে যেতে পারে ও তাদের মূল্যবান ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সেটাই রাঙামাটি জেলাবাসী যেমনি চায়, তেমনি আমিও মনেপ্রাণে ও আন্তরিকভাবে তাই প্রত্যাশা করি।
তিনি আরো বলেন, আমি সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, জনসংহতি সমিতি কোন ধরনের বৈধ বা অবৈধ অস্ত্রবাজি করে না। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে পার্বত্যবাসীকে সঙ্গে নিয়েই গণতান্ত্রিক উপায়ে ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। পার্বত্য চুক্তি বিরোধী ও তাবেদারী ভূমিকা নিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দীপংকর তালুকদার যতই অপপ্রচারে লিপ্ত হোক না কেন, রাঙামাটি জেলাবাসী তাঁর সেই গোয়েবলসীয় অপপ্রচারে কখনোই বিভ্রান্ত হবেন না।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে তার ইশতেহার ও নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তার জনসংহতি সমিতির নেতা সৌখিন চাকমা, উদয়ন ত্রিপুরা, রীনা চাকমা, দীপায়ন খীসা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সংবাদ সন্মেলনে জনসংহতি সমিতির ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উষাতন তালুকদার আরো বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদ থেকে জানা যায় যে,দীপংকর তালুকদার অভিযোগ করেছেন, “রাঙামাটিতে জনসংহতি সমিতি অবৈধ অস্ত্রের মাধ্যমে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৯৫% থেকে ৯৬% ভোট ডাকাতি করেছিল। ভোট ডাকাতি করে আমি বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছিলাম।” দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পার্বত্য রঙঙ্গামাটি আসনে যেখানে সেসময় নির্বাচন কমিশন ও তৎকালীন রির্টানিং অফিসার তথাকথিত ‘ভোট ডাকাতি’র কোন অভিযোগ আনেননি, বরঞ্চ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও অবাধ হয়েছিল বলে উল্লেখ করেছিলেন, সেখানে দীপংকর তালুকদার তথা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের রাঙামাটি জেলা নেতৃত্বের ‘ভোট ডাকাতি’র অভিযোগ সম্পূর্ণ অসত্য ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। বরঞ্চ ২০১৫ সালে রাঙ্গামাটি পৌরসভা নির্বাচনে তাঁর নেতৃত্বে ১১টি কেন্দ্রে ভোট কেন্দ্র দখল করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টের উপর হামলা করে ও বের করে দিয়ে ব্যাপকভাবে জাল ভোট প্রদান ও নজীরবিহীন ভোট ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে, যা সেসময় সংবাদ মাধ্যমে ফলাওভাবে প্রকাশিত হয়েছিল।
বস্তুত দীপংকর তালুকদারের পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি পরিপন্থী ও গণবিরোধী ভূমিকার কারণে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাঙামাটি জেলাবাসী তাঁর বিরুদ্ধে ভোট বিপ্লব ঘটিয়েছিল। তাঁর সেই ব্যর্থতাকে ধামাচাপা দিতেই জনসংহতি সমিতির বিরুদ্ধে দীপংকর তালুকদার এই মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য-প্রণোদিত অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন, যা নির্বাচন আচরণবিধির সরাসরি লঙ্ঘন এবং নির্বাচনী পরিবেশকে উপ্তত্ত করার সামিল বলে আমি মনে করি।
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, নির্বাচন কমিশন, স্থানীয় প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বাহিনী, গণমাধ্যম কর্মী সারাদেশের সাথে ২৯৯ পার্বত্য রাঙামাটি আসনেও শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে যথাযথ ও নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবেন। নির্বাচন আচরনবিধি সুরক্ষায় তারা সকলেই যথাযথ সজাগ দৃষ্টি রাখবেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি তার বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম তোলে ধরার পাশাপাশি আগামীতে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে কি করবেন তার ৯দফা তোলে ধরেন।